প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

গত ৪ মে বুধবার রামু খিজারী অডিটোরিয়ামে তথাকথিত তৃনমুল আওয়ামীলীগের নাম দিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল সহ অন্যান্য বক্তাদের গঠনতন্ত্রবিরোধী ও সাংঘর্ষিক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ সভা করেছেন রামু উপজেলা আওয়ামীগীগ।

৯ মে সোমবার রামু উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স হলে রামু উপজেলা আওয়ামীলীগের এক জরুরী প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, ৪ মে বিভিন্ন গনমাধ্যমে রামু উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল ও সাধারন সম্পাদক শামশুল আলম মন্ডল এর বিরুদ্ধে সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমলের ব্যক্তিগত আক্রমনাত্মক ও অশালীন বক্তব্যে আমরা আশাহত, মর্মাহত ও ব্যথিত। একজন সাংসদ হয়ে তার এহেন রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত বক্তব্য তার ব্যক্তিত্বের পরিধি সম্পর্কে নিঃসন্দেহে মানুষের ধারনা হয়েছে। সাংসদের মিথ্যা-বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও কল্পনাপ্রসূত এ বক্তব্যকে রামু উপজেলা আওয়ামীলীগ ঘৃণাভরে প্রত্যাক্ষান করছে।

রাজনীতির মাঠে গঠনমুলক সমালোচনার মাধ্যমে সুন্দর, মার্জিত ও সাবলীল ভাষায় প্রতিবাদ করা যায়। হেয়প্রতিপন্ন ও মিথ্যা অপবাদের আশ্রয় নিয়ে কাউকে ঘায়েলের অপচেষ্টা নেতৃত্বের অপরিপক্বতা ছাড়া আর কিছু নয়। সময়ের ব্যবধানে এসমস্ত নেতৃত্ব সমাজের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়।

কালো টাকা-ক্ষমতার অপব্যবহার ও জনগনের সাথে মিথ্যা নাটকবাজি করে বেশি দিন নেতৃত্ব টিকিয়ে রাখা যায় না। ঐ সমস্ত অপরিপক্ষ নেতার ক্ষমতা ক্ষয় হয়ে আসবে অচিরেই। মনে রাখা উচিত ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।

বক্তারা বলেন, রামু উপজেলা আওয়ামীগ কক্সবাজার তথা সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী ও সুসংগঠিত দল। কক্সবাজারের অন্যান্য উপজেলায় সভাপতি-সম্পাদকের মাঝে কোন না কোন গ্রুপিং দৃশ্যমান। সেক্ষেত্রে রামু আওয়ামীলীগ নিজেদের মধ্যে অদ্যবদি কোন দলাদলী বা কোন গ্রুপিংয়ের অবতরন হয়নি।

নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, জাতীয় সংসদ নিবার্চনে কমলকে মনোনয়ন না দিলে প্রতিবারই প্রতিবাদ স্বরুপ তিনি হয় কলা গাছ না হয় মাদার গাছ রোপন করে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। যা সকলের জানা।

বিগত ইউপি নির্বাচনে রামুর এগার ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্তান নিয়ে বিএনপি জামায়েত প্রার্থীদের বিজয়ে সহায়তা করে। যা কারো অজানা নয়।

রামু উপজেলা আওয়ামীগীগ জেলা আ:লীগের সাথে সমন্বয় করে রামুর এগার ইউনিয়নের সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন করে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১২ মে রামু উপজেলা আওয়ামীগীগের সম্মেলনের তারিখ রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে কেন্দ্র আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের প্রায় ৪৪টি জেলায় আওয়ামীলীগের সম্মেলন স্থগিত ঘোষনা কর হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে রামু উপজেলার সম্মেলনও স্থগিতাদেশের তালিকায় পড়ে যায়। এদিকে উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে রামু উপজেলা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে সাংসদ কমল সহ অন্যান্যরা নানা মিথ্যা অপপ্রচারেরর পাশাপাশি নিজেদের লম্বা হাতের কারিশমা বলেও জাহির করে বেড়াচ্ছে। যা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়।

পরিশেষে রাজনীতির শুদ্ধতায় সকলকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করতে আহবান জানান রামু উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল ও সাধারন সম্পাদক শামশুল আলম মন্ডল। সভায় উপজেলা কার্য নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ ও এগার ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতি-সম্পাদক সহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দগন উপস্থিত ছিলেন।